
৪১ তম ওভারে আরিফুলকে বল দেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অধিনায়ক রকিবুল হাসান। কিন্তু ব্যাট হাতে যে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তা বল হাতে দেখাতে পারেন নি। ১৭৫ রানের সংক্ষিপ্ত রান তাড়া করতে নেমে হাসিবুল্লাহ খানের ১০৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করে পঞ্চম স্থান প্লে-অফ ফাইনালে ৬ উইকেটে জেতে পাকিস্তান। আর তাতে ম্লান হয়ে যায় আরিফুলের করা দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ইনিংসটি।
অঘটন যা ঘটার তা আগেই ঘটে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হারায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ যুব দল। তবে সুপার লিগ পর্বের প্লে-অফ সেমিফাইনালে অ্যান্টিগায় পাকিস্তানে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। আর তাতে আরিফুলের করা ওই সেঞ্চুরিই যেনো শান্তনা।
এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা পিছিয়ে ছিলেন অনেকাংশে। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পেয়েছিলো মাত্র দুটি অর্ধশতক। স্ট্রাইক রেটেও পিছিয়ে ছিলেন অনেক। সেই দূঃখই কিছুটা মোছালেন আরিফুলের ১১৯ বলে ১০০ রানের ইনিংস।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাহফিজুল ইসলাম ও ইফতেখার হোসেন ফেরার পর মাঠে নামেন আরিফুল। এরপর প্রান্তিক নওরোজ ও আইচ মোল্লা ফিরলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ইফতেখারের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রান এবং ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ ফাহিমকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৬ রান। তবে ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেটের পতনে আবারো হোচট খায় বাংলাদেশ। কিন্তু তাতেও দমেন নি আরিফুল। ৪৯ তম ওভারে শতক নিয়ে আউট হন আরিফুল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে শতক করলেন আরিফুল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই পাকিস্তান তুলে ফেলে ৭৬ রান। ২০তম ওভারে ফেরেন মুহাম্মাদ শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে ইরফান খানের সঙ্গে হাসিবুল্লাহ যোগ করেছেন আরও ৬৬ রান। হাসিবুল্লাহ এবং অধিনায়ক কাসিম আকরামকে ফিরিয়েছেন রকিবুল৷ তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান জয় পেয়েছে ২১ বল বাকি থাকতেই।
২০১৪ সালের পর এই প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শীর্ষ ছয়ের বাইরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করল গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ।
