
বিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে তেমন জ্বলে উঠতে পারেন নি মুশফিকুর রহিম। দুই ম্যাচ মিলিয়ে রান করেন ১৭। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই বলেছিলেন, রানে ফিরবেন তিনি। দলের জয়ের ধারাও ফিরিয়ে আনবেন।
নিজের দেওয়া কথা রেখেছেন তিনি। নিজে যেমন রানে ফিরেছেন, তেমনি দলকেও জিতিয়েছেন এই ম্যাচে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন দলের জয়েও। এমনকি জয়সূচক রানটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
থিসারা পেরেরার বৈচিত্র্যময় বলে ১৪৭ রানে আটকে যায় চট্টগ্রাম। জবাবে খেলতে নেমে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জেতে খুলনা টাইগার্স। ঢাকা পর্বে টানা দুই ম্যাচ জিততে পারলেও ঘরের মাঠে স্বাগতিক দর্শদের হতাশ করে জিততে পারেনি মেহেদী মিরাজের চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে খুলনা পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ২ জয়ে চট্টগ্রাম রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তিন নাম্বারে।
৬ উইকেটের জয় পেলেও শুরুটা খুব একটা ভালো ছিলোনা খুলনার। সৌম্য সরকার করোনার কারনে প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন নি। আজ তৃতীয় ম্যাচে নামতে পারলেও ভালো করতে পারেন নি। মাত্র ১ রানে আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তারপর দ্বিতীয় উইকেটে আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার ৫০ রানের জুটি গড়েন। রনি আউট হলে ফ্লেচারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক। দুজন মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। তারপর ৪৭ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে ফেরেন ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটার। সেকুগে প্রসন্নর ১৫ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। ৩০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।
চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান মিরাজ ২৪ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
অপরদিকে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম। দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে কেনার লুইস সাজঘরে ফেরেন। পরবর্তীতে উইল জ্যাকস ও আফিফ হোসেন ধ্রুব দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। ২৩ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করে ফেরেন উইল জ্যাকস।
অন্য পাশ থেকে নিয়মিত উইকেট যেতে থাকলেও দলের হাল ধরে থাকেন আফিফ। ৩৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। নাঈম ইসলাম ১৯ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার হয়ে থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদী হাসান, সেকুগে প্রসন্ন ও ফরহাদ রেজা।
