লক্ষ্য মাত্র ১৪৫ আর হাতে আছে ১০ উইকেট এবং দুই দিনেরও বেশি সময়। এমন পরিস্থিতিতেই মাঠে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল ভারত। তবে শেষ বিকেলের টাইগারদের স্পিন ঘূর্ণিতে চিত্রটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে টিম ইন্ডিয়া।

জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ উইকেট। ছবিঃ সংগৃহীত
এদিকে অসাধারণ বোলিঙ্গ নৈপুণ্যে ঢাকা টেস্টে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চমৎকার ক্যাচ তালুবন্দি করলেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। রাহুল করেন ২ রান।
দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দ্রুতই আবারও ধাক্কা। টপ অর্ডারে ভারতের সবচেয়ে বড় ভরসা চেতেশ্বর পুজারার প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ। নিজের প্রথম বলেই পূজারাকে ফেরালেন ওডিআইয়ের ম্যান অব দ্য সিরিজ। ১২ বলে এক চারে ৬ রান করেন পুজারা।
এরপর অক্ষর পাটেল আর শুবমান গিল মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে, আবারও বাঁধা হয়ে আসেন মিরাজ। সোহানের অসাধারন স্টাম্পিংয়ে ৩৫ বলে ৭ রান করে ফেরেন গিল।
এবার গুনে গুনে ভারতীয় তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার শিকারের তালিকায় সবশেষ সংযোজন বিশ্বসেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
দ্বিতীয় দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৫ রান, জয়ের জন্য আরো প্রয়োজন ১০০ রান। ভারতের পক্ষে ক্রিজে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন অক্ষর পাটেল (২৬) এবং নাইটওয়াচম্যান জয়দেব উনাদকাট (৩)।
আরও পড়ুনঃ স্বপ্ন পূরন হল রাজার, দল পেলেন আইপিএলে
এর আগে ১৫৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শঙ্কা জেগেছিল দুইশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার। সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারের তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লড়াকু এক জুটি গড়েন লিটন দাস। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭৩ রানে লিটন ফিরে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২৩১ রান অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয় লিটন দাস সর্বোচ্চ ৭৩ এবং জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন। ভারতের হয়ে অক্ষর প্যাটেল সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।
