
ক্রিকডট ডেস্কঃ সেঞ্চুরিয়নে আরো একবার টাইগার বোলারদের দাপট দেখলো আফ্রিকানরা। তবে টাইগার বোলার না বলে শুধু তাসকিনের কথা বললেও যে খুব একটা ভুল হবে না। তার আগুনঝরা বোলিংয়ে যে লন্ড-ভন্ড হয়ে যায় আফ্রিকানদের ইনিংস। তার পেইস আর বাউন্সে তালগোল পাকিয়ে পেলে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ওয়ানডে ক্যারিয়ার তার শুরুই হয়েছিল ৫ উইকেট দিয়ে। সেটাও ভারতের মতো বড় দলের বিপক্ষে। ৪৭ ওয়ানডে পর আবারো ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন।
যদিও আফ্রিকার উইকেট পতনের শুরুটা হয় মিরাজের হাত ধরেই। কুইন্টন ডি কক আর জানেমন মালানকে বেশী দূর যেতে দেননি এই অপ স্পিনার। কককে বিদায় করে তাদের ৪১ বলে ৪৫ রানের জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। লংঅফে মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন কক। তার উইলো থেকে আসে ৮ বলে ১২ রান।
দলীয় ১৩তম ওভারে এসেই নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন তাসকিন। তিন নাম্বারে নামা কাইল ভেরনানকে বিদায় করেন এই পেসার। দিনটি যে শুধুই তাসকিনের প্রথম ওভার থেকে যেন সেই জানানই দিচ্ছিলেন। আর তাইতো এক ওভার পর এসেই শিকার করলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। এবার আর ভাগ্যের সাহায্য নয়, দারুণ এক ডেলিভারিতে মালানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান টাইগার গতিতারকা। ৩৯ রানে থামেন মালান।
বল হাতে যখন মিরাজ তাসকিনরা প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিচ্ছেন, তখন কি আর বসে থাকবেন সাকিব। তাইতো আফ্রিকার চতুর্থ উইকেট নিজের করে নিলেন দলের সেরা তারকা। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে বাভুমাকে বিদায় করলেন সাকিব। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি প্রোটিয়া কাপ্তান। ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আফ্রিকানরা যখন ধুকছে। ঠীক তখনই প্রতিপক্ষ শিবিরে আঘাত হানলেন শরিফুল। দলীয় ১৯তম ওভারে প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ের আরেক ভরসা ভ্যান ডার ডাসেনকে সাজঘরে ফেরালেন এই তরুন বোলার। পয়েন্টে মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন ডাসেন।
মিলারকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। তবে সে চেষ্টা সফল হতে দেননি তাসকিন। প্রোটিয়া শিবিরে আবারো আঘাত হানেন এই পেসার। ব্যাক্তিগত ২০ রানে উইকেটের পিছনে মুশফিকের তালুবন্দী হন প্রিটোরিয়াস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩১ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রান।
