
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তিন বছরের জন্য জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেলরকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, আইসিসির দুর্নীতি দমনের চারটি আলাদা ধারা ও আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে আইসিসি লিখেছে, ‘জিম্বাবুয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর আইসিসির দুর্নীতি দমন কোডের চারটি এবং আলাদাভাবে আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি অভিযোগ লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করায় সাড়ে তিন বছরের জন্য সমস্ত ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন।’
এর আগে ভারতীয় একজন ফিক্সার কর্তৃক ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্যে প্রস্তাব পেলেও সেটি সময় মতো আইসিসির কাছে জানাতে পারেন নি বলে স্বীকার করেছিলেন ব্রেন্ডন টেলর।
তার নিজস্ব ভেরিফাই করা টুইটারে এক লম্বা টুইটের মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক এবং উইকেট কিপার জানান, একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী তাকে জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার স্পন্সরশিপ এবং সম্ভাব্য লাউঞ্চের বিষয়ে আলোচনা করতে ভারতে একটি পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যার প্রাথমিক অফার ছিল ১৫০০০ মার্কিন ডলার। একবার তিনি ভারতে এসে একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন, যেখানে তাকে খোলাখুলিভাবে কোকেন দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি ‘বোকামি করে’ গ্রহণ করেছিলেন।
এটি গোপনে ক্যামেরায় শুট করা হয়েছিল এবং ভিডিওটি পরের দিন সকালে তাকে একটি আলটিমেটাম দিয়ে দেখানো হয়েছিল যে তিনি যদি আন্তর্জাতিক খেলাগুলিতে ফিক্সিং করতে রাজি না হন তবে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এবং বলা হবে যে, তাকে ১৫০০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে, এবং ফের বিমানে করে তিনি দেশে ফিরে যান।
তিনি বলেন, আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমার হোটেল রুমে বাকি আরো ৬ জন ছিলেন, এবং নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে আমি ভয় পাচ্ছিলাম। আমি ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলাম, যা আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।
২০০৪-২১ সালের মধ্যে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে টেলর ৩৪ টি টেস্ট, ২০৫ টি ওয়ানডে এবং ৪৪ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই দ্বিতীয় প্রাক্তন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক দুর্নীতিবিরোধী নীতিনির্ধারকে ছিলেন এবং একই সাথে দুর্নীতিবিরোধী কার্যকলাপেও জড়িত ছিলেন।
