
ছবি : সংগৃহীত
|| ডেস্ক রিপোর্ট || মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪২ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট সানরাইজার্স। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরে যখন আন্দ্রে ফ্লেচারের মতো ক্রিকেটারে রয়েছেন, তখন খুলনার জন্যে এটি তো মামুলি টার্গেট। ক্যারিবিয় এই ক্রিকেটারের ব্যাটিং ঝড়ে ৩৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হারের মুখ দেখে খুলনা। এবার ঢাকায় ফিরেই যেন নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিলেন খুলনার ব্যাটাররা। সিলেটকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে আসে মুশফিক-সৌম্যরা। সিলেটের করা ১৪২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিলেট বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চওড়া হন আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকার। ১০.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৯৯ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারে এসে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য। ৩১ বলে ৪৩ রানের অসাধারন এক ইনিংস খেলেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি।
সৌম্যকে প্যাভিলিয়নে পাঠানো গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারিবিয় এই ক্রিকেটার। সিলেটের কাপ্তান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে মিরপুরে ব্যাটিং ঝড় তুলেন ফ্লেচার। সৌম্যের বিদায়ের পর ২২ গজে আসেন আরেক হার্ড-হিটার লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। তিন নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে খেলেন ২২ রানের ক্যানিউ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে যান এই লঙ্কান ক্রিকেটার। অন্যদিকে ৪৭ বলে ৭১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ফ্লেচার। সমান ৫টি চার ও ছয়ের মারে সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি।
এর আগে খুলনার আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে কাটা পড়েন এনামুল হক বিজয়। ১০ বলে ৪ রানের বেশী করতে পারেননি জাতীয় দলে খেলা এই ওপেনার। ব্যাট হাতে ফ্লেচার নিজের জাত চেনালেও এদিন ব্যার্থ ছিলেন আরেক ক্যারিবিয় সিলেটের লেন্ডল সিমন্স। ১৯ বলে করেন মাত্র ৬ রান। যা মোটেও তার নামের পাশে মানায় না।
এনামুল-সিমন্সের দেখানো পথেই হাঁটেন আরেক ইনফর্ম ক্রিকেটার কলিন ইনগ্রাম। নাবিল সামাদের বলে কাটা পড়েন এই বিদেশী। বলা যায় এই তিন ব্যাটসম্যানেকে হারিয়ে কোমর ভেঙ্গে যায় সিলেটের ইনিংসের। তবে দলকে এদিন খাঁদের কিনারা থেকে তুলে আনেন মিঠুন ও সৈকত জুটি। সিলেটের বিদেশীরা না পারলেও ব্যাট হাতে ঠীকই জ্বলে উঠেছেন দেশী এই দুই ক্রিকেটার। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬৮ রান। ৩০ বলে ৩৪ রান করে মোসাদ্দেক থেমে গেলেও থেমে যাননি মিঠুন। এদিন খুলনার বোলারদের ওপর চওড়া হন ডান-হাতি এই ক্রিকেটার।
৪১ বল খেলেই তুলে নেন ব্যাক্তিগত অর্ধশত। অর্ধশতক করার পর মিঠুনের ব্যাট যেন হয়ে যায় খোলা তরবারি। যেখানে ৯ বলেই হাঁকান তিন চার এবং এক ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৭২ রান করে থামেন মিঠুন। দলের ইনিংসের একদম শেষ বলে প্রথম স্ট্রাইক পেয়েই ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন নাদিফ চৌধুরী। যার সুবাদে কোনমতে ১৪০ পার হয় সিলেট সানরাইজার্স। বল হাতে খুলনার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন খালেদ। এছাড়া কামরুল রাব্বি, নাবিল সামাদ ও সৌম্য সরকার শিকার করেন সমান ১টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
টস : খুলনা টাইগার্স
সিলেট সানরাইজার্স : ১৪২/৫ (২০ ওভার)
মিঠুন ৭২, মোসাদ্দেক ৩৪
খালেদ ২০/২, নাবিল ১০/১
খুলনা টাইগার্স : ১৪৪/১ (১৪.২ ওভার)
ফ্লেচার ৭১*, সৌম্য ৪৩, পেরেরা ২২*
অপু ৩৯/১
ফলাফল : খুলনা টাইগার্স ৯ উইকেটে জয়ী।
