
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। কিন্তু আজ মিরপুর স্টেডিয়ামে একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একটি ম্যাচ দেখলেন দর্শকরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
আজ শনিবার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোচট খায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে মাহমুদুল্লাহরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইফ হোসেন শূন্য রানে আউট হয়ে প্যভিলিয়নের পথ ধরেন। যখন নাইম শেখের দায়িত্ব নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে তিনি মাত্র ২ রান করে ফকর জামানের হাতে তালুবন্দি হন।
এর পর শান্ত ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে হাসতে থাকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড। কিন্তু আফিফ ২১ বলে ২০ রান করে রিজওয়ানের হাতে তালুবন্দি হওয়ার পর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। শান্তর ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিতে থাকেন স্কোর। শান্ত ৩৪ বলে ৪০ ও মাহমুদুল্লাহ ১৫ বলে ১২ রানে থামলে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এর পর নূরুল হাসান ১১ রানের একটি ইনিংস খেলে ইউকেট কিপারের গ্লাভসবন্দি হন। আর কেউই ২ অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি।
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার শহীদ আফ্রিদি। নির্ধারিত ৪ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়ে তিনি ২ দুটি উইকেট শিকার করেছেন।
এত অল্প রানের টার্গেট দিয়ে বোল করতে নামা বাংলাদেশ শিবিরে শুরুতেই অনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসে বাবার আজমকে মোস্তাফিজুর রহমান এক রানে প্যভিলিয়নের পথ ধরালে। কিন্তু খুঁটি হয়ে দাঁড়ান মোহাম্মদ রেজওয়ান ও ফকর জামান। অবশ্য সাইফের ক্যাচ মিসেই দীর্ঘ হয় ফকরের ইনিংস। জীবন
পেয়ে ৫১ বলে ৫৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটিও উঠেছে এই ফকরের হাতে। আর রিজওয়ান খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস। এই ওপেনার ৪৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে সাজিয়েছেন ইনিংসটি। জয় থেকে দল যখন ১২ রান দূরে তখন সাইফ হাসানের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। ইউকেটটি শিকার করেন আমিনুল ইসলাম।
