
গেলো বছর থেকে বিশ্রামের খুব বেশি সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এ বছরেও ঠাসা সূচী বাংলাদেশের। এক সিরিজের পর আরেকটা। একের পর এক ইনিংস খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। অবশ্য প্রতিটি সিরিজই দলের জন্যে অর্থবহ। একদিকে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ আর অন্যদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দম ফেলার সুযোগ নেই খেলোয়াড়দের।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এমন কথা ভেবেই বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড দুই দলের বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেই আসন্ন বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ড সফরকে পিছিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। আগামী মে মাসের শেষ দিকে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
পিছিয়ে যাওয়া এই সিরিজটি হবে আগামী ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে। পুরো এক বছর পর আগামী বছরের মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবেন সাকিব-তামিমরা। আইরিশদের সাথে এই সিরিজটি পেছানোর খবর নিশ্চিত করেছেন, বিসিবি মিডিয়া কমিটির প্রধান তানভীর আহমেদ টিটু। তিনি।বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড সফরটা এ বছর হচ্ছে না। আইসিসি দুই দেশের (ক্রিকেট বোর্ডের) সঙ্গে আলাপ করে সেটা এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। আগামী বছর মে মাসে আমরা এই সফরটি করব।’
বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের এই সিরিজটি হওয়ার কথা ছিলো ২০২০ সালের মে মাসে। কিন্তু করোনার কারনে সেটি স্থগিত করা হয়েছিলো। এবারের ঠাসা সূচীর কারনেই এ সফরটি পেছানো হয়।
আগামী জুন-জুলাইতেই বাংলাদেশ উড়াল দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে। এর আগে ঘরের মাঠে খেলবে শ্রীলঙ্কার সাথে। আর এই দুই সফরের মাঝে আয়ারল্যান্ড সফরটা রীতিমতো কষ্টকর হয়ে যায় খেলোয়াড়দের জন্যে। এই দুই সিরিজ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার আগে আফগানদের আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। আর সেজন্যই মূলত আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত সিরিজটা স্থগিত করা হয় আইসিসির পক্ষ থেকে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী মে মাসে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা। আর এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসার কথা আফগানিস্তানের। তিনটি ওয়ানডে এবং দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন আফগানরা। এত ব্যস্ত শিডিউলে আবার মার্চের মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ।
মূলত ধারাবাহিক এই খেলার সূচীতেই ক্রিকেটারদের দম ফেলার সুযোগ দেখছেন না আইসিসি। আর তাই খেলোয়াড়দের নির্ভার করতেই পেছানো হয়েছে আয়ারল্যান্ড সফর।
