
ইংল্যান্ডের কাছে বিশাল পরাজয়ের মাধ্যমে এবারের যাত্রাটা শুরু হয়েছিলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ এর। মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের সাথে। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে তাই কানাডার বিপক্ষে জয়টা খুবই প্রয়োজন ছিলো। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ১১৯ বল ও ৮ উইকেট বাকি রেখেই কানাডার বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশের যুবারা। মেহেরব হাসান, রিপন মণ্ডলের পর ইফতেখার হোসেনের তাৎপর্যপূর্ণ বোলিংয়ে জয় ধরা দেয় বাংলাদেশের হাতে।
বোলাররা নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়ে সেন্ট কিটসের কোনারি স্পোর্টস ক্লাবে ৪৪.৩ ওভারে ১৩৬ রানে কানাডাকে আটকে দেয় বাংলাদেশ। অফ স্পিনার মেহেরব হাসান ও পেসার রিপন মণ্ডল নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। তাদের আগ্রাসী বোলিংয়ের কারনে টসে জিতে ব্যাট করতে আসা কানাডা দাঁড়াতে পারেনি শক্তভাবে। কানাডার ওপেনিং ব্যাটার অনুপ চিমা ১১৭ বলে করেন ৬৩ রান, তবে তাকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে পারেন নি কেউ।
১১তম ওভারে যশ শাহকে এলবিডব্লু করে উইকেট নেন রিপন। পরের ওভারেই আশিকুর জামান প্যাভিলিয়নে ফেরান ইয়াসির মাহমুদকে। অধিনায়ক মিহির প্যাটেল এবং তারপরে মোহিত প্রশারকে নিয়ে জুটিতে ভালো কিছুর চেষ্টা করেছিল চিমা। কিন্তু তাতে কাজ হয়না। তাদের দুজনের কেউই টিকতে পারেনি মেহরবের সামনে। মেহেরব পরের দুই ওভারে নেন গুরনেক সিং ও ইথান গিবসনের উইকেটও।
অবশ্য সপ্তম উইকেটে কৈরভ শর্মাকে নিয়ে চিমা ২২ রানের একটি নাম্বার যোগ করেন কানাডার দলে। ১০৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পথে ছিলেন তিনি। কিন্তু রিপন এসে ভেঙ্গে দেন সে জুটি। ৪১তম ওভারে গিয়ে রিপন তুলে নেন চিমার উইকেট৷ এরপর আশিকুরের পরমবির খরৌদকে ফেরানো এবং শিল প্যাটেলকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান রিপন, কানাডা তাদের ইনিংস শেষ করে ৪৪.৩ ওভারে।
টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ৷ ১৪ বলে ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহফিজুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন ইফতেখার হোসেন এবং প্রান্তিক নওরোজ। জুটিতে করেন ৭৬ রান। বাঁহাতি ইফতেখার পূর্ণ করেন ৭১ বলে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
