
এমন ঘটনা ক্রিকেটের ইতিহাসে সচরাচর নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ম্যাচ চলাকালীন সময়েই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে চারপাশ। খেলায় ব্যস্ত থাকায় খেলোয়াড়রা টের না পেলেও টের পেয়েছেন ধারাভাষ্যকার রাও। ধরা পড়ে খেলা সম্প্রচারেও। আর তাই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের প্লেট পর্বে সেমিফাইনালে মাঠে খেলতে নেমেছিলো জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ড। পোর্ট অব স্পেন ঠিক এ সময়ই কোন রকম ঘোষণা ছাড়া কেঁপে উঠে ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প ছিলো এটি। খেলা সম্প্রচারে দেখা যায় বিপদজনক ভাবে কাঁপছে ক্যামেরা। ধারাভাষ্যকক্ষেও ছিলো আতঙ্ক। আর তাই আতঙ্কিত হয়েই ধারাভাষ্যে বলা হয় ভূমিকম্পের কথা।
আইসিসির ধারাভাষ্যকার অ্যান্ড্রু লিওনার্ড এ সময় বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে। সত্যিই কি? কুইন্স পার্ক ওভালের গোটা মিডিয়া সেন্টারই যে থরথর করে কাঁপছে।’
আয়ারল্যান্ড স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিইস জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নিজের পঞ্চম বলটি করছিলেন। ব্যাটে তখন ছিলেন ব্রায়ান বেনেট। হঠাৎই ক্যামেরায় লক্ষ্য করা যায় ভূমিকম্প। উইকেটের দিকেই তাক করা ছিলো ক্যামেরা। বিপদজনক ভাবে সেটি কাঁপতে থাকে হঠাৎ। আশেপাশে ভূমিকম্প টের পাওয়া গেলেও মাঠে খেলায় ব্যস্ত থাকায় সেটি নজর কাড়েনি খেলোয়াড়দের। খেলাও বন্ধ করা হয়নি। হামফ্রিইসের ওই বলটিতে রক্ষণাত্মক খেলে পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকান বেনেট।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবন দুটি দ্বীপরাষ্ট্র হলো ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো। ক্যারিবীয় অঞ্চলের দক্ষিণ প্লেটে অবস্থিত এটি। পুরো বছরজুড়েই এখানে ছোট থেকে মাঝারি আকারের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট ৬ দশমিক ৯ মাত্রার একটি বড়সড় ভূমিকম্পের স্বীকার হতে হয়েছিলো দেশটিকে। তবে খুব বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এই দেশেই যে কয়বার ৭ মাত্রার বড় ভূমিকম্পের স্বীকার হতে হয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যাও কম নয়।
