Connect with us

ক্রিকেট

বিপিএলের ‘এলোমেলো’ অবস্থা নিয়ে সাকিবের বিস্ফোরক মন্তব্য

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ‘এলোমেলো’ অবস্থা নতুন নয়। তবে দায়িত্ব পেলে ২-১ মাসের মধ্যেই বিপিএল-এর সবকিছু বদলে দিতে পারেন সাকিব আল হাসান। বুধবার (৪ জানুয়ারি) একদিনের জন্য গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাকিব আল হাসান।

বিপিএলের ‘এলোমেলো’ অবস্থা নিয়ে সাকিবের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিপিএলের ‘এলোমেলো’ অবস্থা নিয়ে সাকিবের বিস্ফোরক মন্তব্য

২০১২ সালে বিপিএল মাঠে গড়ানোর পর খেলোয়াড় নিলাম থেকে শুরু করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাক লাগিয়ে দেয় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল বর্ণহীন হয়ে পড়ে। এবার তো আরও এলোমেলো অবস্থা। আধুনিক ক্রিকেট ডিআরএস ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। অথচ গতবারের মতো এবারও বিপিএল শুরুই হচ্ছে ডিআরএস ছাড়া। এমনকি বিপিএলের ১১তম আসরের স্পন্সরও এখন পর্যন্ত পায়নি আয়োজকরা। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও পেশাদারিত্ব আনতে পারেনি। ২-১ টি ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনও অনুশীলন জার্সিরও যোগান দিতে পারেনি।

১০ বছর আগে বিপিএলের যাত্রা শুরু হলেও এখনও ফ্রাঞ্চাইজি এই লিগটির কোনও কাঠামো দাঁড় হয়নি। প্রতি বছরই কোনও না কোনও বদল আসেই। নেই কোনও নিয়ম-নীতি। সবকিছুই হয় অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে। রেভিনিউ শেয়ারিং সিস্টেম তো অনেক দূরের কথা, আর্থিক ভিত্তি গড়ার কোনও সিস্টেম এখনও তৈরি করতে পারেনি বিসিবি। ফলে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদের জন্য পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করা যায় না।

আজ একদিনের জন্য গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাকিব আল হাসান। নিয়মিত রুটিনের বদলে নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তবে আসল পরিচয়ে ঠিকই থাকলেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে ঠিকই কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন… বিপিএলের মান নিয়ে ভাবছেন না মিরাজরা

এসব অসঙ্গতি নিয়েই বিপিএল খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এইসব অসঙ্গতি দূর করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সাকিব অবশ্য জানালেন দায়িত্ব পেলে ২ মাসের মধ্যেই সব বদলে দেবেন, ‘বিপিএলের সিইও হলে আমার বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা এক থেকে দুই মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে। দুই মাসও লাগার কথা না, দুই মাস অনেক দূরের কথা বলছি। পুরনো সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন করে আবার ড্রাফট হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে। আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।’

ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক বিপিএলের অসঙ্গতিগুলো নিয়ে আরও বলেন, ‘বাজেট সংকট সম্ভবত। সদিচ্ছা থাকলে থেমে থাকার কিছু দেখি না। সদিচ্ছা থাকলে আমি তো কোনও কারণ দেখি না ডিআরএস থাকবে না, তিন মাস আগে ড্রাফট কিংবা অকশন কেন হবে না? টিমগুলো দুই মাস আগে থেকে কেন ঠিক হবে না?’

তিনি বলেন, ‘পারিনি নাকি চাইনি জানি না- বলাটা কষ্টকর (বড় করতে)। চাইলে না পারার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমার মনে হয় আমরা সৎ মনে কখনও চাইনি কিছু করতে এখন পর্যন্ত। বাজেট নেই, কারণ আমরা বাজেট তৈরি করতে পারিনি। যদি তৈরি করতে পারতাম, মান অর্জন করতে পারতাম- অবশ্যই এই বাজেটটা অনেক বড় হওয়ার কথা ছিল। ’

টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, ‘গ্রামের এমন কোনো প্রত্যস্ত অঞ্চল দেখবেন না যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে এটার জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এতো পছন্দের একটা খেলা এটার বাজারটা থাকবে না; এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।’

আরও পড়ুন… কুমিল্লার হয়ে বিপিএল মাতাতে আসছেন ডেভিড মালান

 

ক্রিকডট/আইএ

Advertisement

More in ক্রিকেট