
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মূলত রানের খেলা। অর্থাৎ এখানকার মূল কাজ হলো বয়াটারদের। তাদের চার ছক্কা দেখার জন্যই দর্শক মাঠে আসে। বিশ্বজুড়ে এই ফরম্যাটের টুর্নামেন্টগুলোতে এমনই হয়। কিন্তু বিপিএলের চিত্রটা ভিন্ন। এখানে সুবিধা পায় বোলাররা। অন্যদিকে রান পেতে একপ্রকার যুদ্ধই করতে হয়ে ব্যাটারদের। আর এই জন্য প্রত বছরই সমালোচনার মুখে পড়ে বিপিএল।
তবে এবারের আসরে কিছু ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এবার বেশ ভালোই রান আসছে। এখনও টুর্নামেন্টের অর্ধেকের বেশী বাকি। এরই মধ্যে দুই’শ পেরিয়েছে একাধিক ইনিংস। তবে চিন্তার বষয় হলো, হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দেশী কোন ব্যাটারই বলার মত পারফর্ম করে দেখাতে পারছেন না।
সাকিব-নাসির-লিটনরা রান পেলেও ব্যর্থ সৌম্য, মাহমুদুল্লাহ’র মতো অনেকেই। কিন্তু নিজেদের উইকেটেও কেন পাচ্ছেন না বাংলাদেশী ব্যাটাররা? এর প্রধান কারণ হলো, দায়ি স্থানীয় ক্রিকেটারদের মান কমে যাওয়া… এমনটাই মনে করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
বিপিএলে দেশীয় ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে হতাশ বর্তামান চ্যাম্পিয়ন কোচ। তার মতে প্রতিটি ব্যাটাররের দূর্বলতা থাকবে; সময়ের সাথে সে দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলেই মিলবে সফলতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকার সাথে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক নাসিরের পারফর্মেন্সের বিষয় তার মন্তব্য জানতে চাইলে সালাউদ্দিন বলেন, ‘নাসির ভাল অবস্থায় আছে। তবে তার ইমপ্রুভ হয়েছে কিনা জানিনা। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটারদেরও (ব্যাটার) ওভারঅল মান কমেছে। উইকেট ভাল, এখানে আরো ভাল করা উচিত।’
অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচে ডাক মারা বাংলাদেশের অন্যতম হার্ডহিটার সৌম্যের অফ ফর্ম নিয়ে দেশ সেরা কোচ বলেন, ‘সৌম্যের টেকনিকে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সাইকোলজিক্যালি সমস্যাও মনে হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ টস জিতে বোলিংয়ে খুলনা
সৌম্য সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘তাকে (সৌম্য) নিয়ে কাজ করতে হবে। সময় দিতে হবে। সে আন্তর্জাতিকভাবে পরীক্ষিত পারফরমার। তাকে কেউ সময় দিয়ে ঠিক করতে হবে। আগের পারফর্মেন্সের অভিজ্ঞতা যেহেতু আছে তার সেগুলো কাজে লাগবে। তার পক্ষে ফিরে আসা সম্ভব।’
বাংলাদেশের টপ অর্ডার নিয়ে দেশ সেরা কোচের মন্তব্য, ‘আমাদের শর্টসের লিমিটেশন আছে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে যারা আছে। উইকনেস নিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের উইকনেস কাল থাকা যাবে না। এ বছর যে উইকনেস দেখা যাচ্ছে সেটা যদি এক বছরে ঠিক করতে না পারেন পরের বছর সে উইকনেস অনুযায়ী প্রতিপক্ষ বোলাররা বল করবে।’
