আজ (২৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জার সামনে পড়তে পারতো স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাত্র ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার খাদে পড়ে যাচ্ছিল দলটি, তবে এম পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তানজিম হাসান সাকিব।
এই দুই ব্যাটারের ৪৮ রানের জুটি দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে মোটামুটি সন্মাজনক স্কোর গড়তে সাহায্য করে। তবে শেষ পর্যন্ত সিলেটের স্কোর শত রান পেরুতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৯২ রান।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৪১ রান করেছেন তানজিম সাকিব। অধিনায়ক মাশরাফি আউট হন ২১ বলে ২ ছক্কায় ২১ রান করে। দুই জনকেই ফিরিয়েছেন রংপুরের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।
এর আগে ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে আছে পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বরে থাকা দল সিলেট।
রংপুরের দুই বোলার মেহেদী হাসান এবং আজমতুল্লাহ ওমরজায়ের বোলিং তোপের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে সিলেটের স্ট্রং ব্যাটিং লাইনাপ। ওপেনার টম মরিস ফিরেছেন ২ রানে, তারপরই ফিরেছে আরেক ওপেনার নাজমুল শান্ত (৯)।
এরপরের তিন ব্যাটার তৌহীদ হৃদয়, জাকির হোসেন এবং মুশফিকুর রহিম… তিজনই মেরেছে গোল্ডেন ডাক। এরপর থিসারা পেরেরা ফিরেছে ৩ রানে এবং সর্বশেষ ১ রান করে আউট হলেন ইমাদ ওয়াসিম।
আরও পড়ুনঃ শূন্য রানেই দেশে ফিরলেন ঢাকার রবিন দাস
সব মিলিয়ে এসময় মনে হচ্ছিল বিপিএলের সর্বনিন্ম দলীয় সংগ্রহের (৪৪) রেকর্ড আজ ভাঙ্গবে সিলেট। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সাকিব-মাশরাফি মিলে দলকে বড় ধরণের লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
রংপুরের হয়ে মেহেদী ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২ উইকেট। অন্যদিকেওমরজাই ১৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ১২ রানে ৩টি। বাকি এক উইকেট নেন হারিস রাউফ।